চরফ্যাশন উপজেলা প্রত্যেকটি বস্ত্ত বা এলাকার একটি নাম থাকাটাইস্বাভাবিক। আর এই নাম থাকার পিছনেও থাকেবিভিন্ন যুক্তি বা সার্থকতা। এ এলাকাটির নামচরফ্যাশন হওয়ার পিছনেও যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।যেমন-এ চরফ্যাশন পূর্বে কখনো নোয়াখালী,কখনো বরিশাল আবার কখনো বা পটুয়াখালীরগলাচিপার সাথে সংযুক্ত ছিল। বর্তমানেচরফ্যাশন থানাটি ভৌগলিক অবস্থান কিন্তু পূর্বেএমন ছিল না। এ চরফ্যাশন ছিল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রঅসংখ্য চর। ঠিক তখনই বরিশালের জেলাম্যাজিষ্ট্রেট এইচ,জে,এইচ ফ্যাশন সাহেব১৮৮৫-৮৭ সালের দিকে প্রশাসনিক ভাবে এঅঞ্চলের চরগুলির প্রতি দৃষ্টি দেন এবং এলাকারপ্রান কেন্দ্র বর্তমান চরফ্যাশন বাজারটি গঠনকরেন। মিঃ ডোনাবানের পরিকল্পনা অনুসারেপ্রস্তাবিত এ বাজারের নাম রাখা হয় চরফ্যাশনবাজার। পরবর্তীতে এলাকার একমাত্র প্রানকেন্দ্রচরফ্যাশন বাজারের নাম অনুসারে গোটাএলাকার নাম করন করা হয় চরফ্যাশন। তিনিচরফ্যাশনের উন্নতির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকরেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভোলা দ্বীপটি পদ্মা, মেঘনা ও বহ্মপুত্র নদীর শাখাপ্রশাখায় বাহিত পলি দ্বারা গঠিত। পলি, লতা- পাতাও কচুরিপানা ভাসমান অন্যান্য আবর্জনা ধীরেধীরে জমা হয়ে প্রবাল দ্বীপের ন্যয় চর পড়া শুরুহয়, এর সাথে পলি জমে-এ মূল ভূখন্ডের উৎপত্তি হয়। এই দ্বীপের বয়স প্রায় ৫০০ বছর ভোলা নামকরণের পিছনে স্থানীয়ভাবে একটিকাহিনী প্রচলিত আছে । ভোলা শহরের মধ্যে দিয়েবয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মতঅপ্রশস্ত ছিলনা । এক সময় এটা পরিচিত ছিলবেতুয়া নদী নামে । খেয়া নৌকার সাহায্যেলোকজনের পারাপারের কাজ চলত । খুব বুড়োএক মাঝি এখানে খেয়া নৌকার সাহায্যেলোকজনকে পারাপার কাজ করত । তার নামছিল ভোলা গাজী পাটনী । আজকের যুগিরঘোলেরকাছেই তার আস্তানা ছিল । এই ভোলা গাজীর নামঅনুসারেই এক সময় স্থানটির নামকরণ হয় ভোলা। দৌলতখান উপজেলা বাংলাদেশের উপকুলীয় ভোলার দ্বীপন্জল ভোলারপূর্বপ্রান্তে সর্বনাশী মেঘনার তীরে অবস্থিতদৌলতখান উপজেলা প্রচলিত কথায়, ইতিহাসেরভাষায় দৌলতখান ভদ্রলোকের বাসস্থান । এক সময় দৌলতখান ছিল ভোলার প্রান কেন্দ্র । শতবর্ষ পূ্র্বেএখানে ছিল মহাকুমা সদর ।সাগর পারের চর জঙ্গলআবেদত্ত কাহিনীর প্রথম সূত্রপাত মেঘনা তীরের এইদৌলতখানেই । মোঘল আমলের প্রথম দিকেও এইএলাকা ছিল আরাকান রাজ্যের মগ , জলদস্যু ওপর্তুগীজ ফিরিংঙ্গিদের আশ্রয়স্থল । বাংলার মোঘলসুবেদার মীর জুমলার মৃত্যুর পর আমলগীরের মামাএবং সম্রাজ্ঞী নুরজাহানের ভাই আসক খানের পুত্রশায়েস্তা খানকে বাংলার সু্বেদার নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ১৯৬৬ খিঃ চট্রগ্রাম পর্তুগীজদেও দুর্গ জয়করেন । এসময় মোগল বাহিনীর দুর্ধর্ষ সেনাপতিশাহাবাজ খা তাহার একজন দুঃসাহসিক সামান্তসেনা দৌলতখার সহায়তায় বঙ্গোপসাগর ওমেঘনার সঙ্গমস্থল সন্দীপ ও উত্তর দিকে মেঘনারউপকুল বাহিয়া পর্তুগীজ জলদস্যৃ ও আরাকানেরমগদিগকে স্থল ও নৌ যুদ্বে পরাজিত করেতাহাদেরকে বিতারিত করে এই এলাকায় স্থানীস্থাপন করেন । অতপর মোঘলদের রীতি অনুসারেমেঘনা তীরের তাদের বিজিত এলাকা দুইভাগেবিভক্ত করে ইলিশা নদির উত্তর দিকের নাম রাখেনউত্তর শাহাবাজপুর এবং দক্ষিন অংশের নাম রাখেন দৌলতখান । মনপুরা উপজেলা প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরাহচ্ছে ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায় ৮০ কিঃ মিঃ দুরত্বেসাগরের বুকে নয়নাভিরাম আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।মনগাজী নামে এখানকার এক লোক একদা বাঘেরআক্রমনে নিহত হন। তার নামানুসারে মনপুরানাম করন করা হয়। ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে অত্রউপজেলাপট গঠিত হলেও বর্তমানে নবগঠিত ৪নংদক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়ন গঠিত হওয়ায় বর্তমানেইউনিয়ন সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪টি। প্রাকৃতিকসৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত এ্ উপজেলায়রয়েছে প্রাকৃতির অপরুপ রুপ। জাতির জনকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপজেলায়চিন্তানিবাস করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন। প্রতিবছর শীতে শত শত পর্যটক ভীর করে এউপজেলার নয়নাবিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে।এ উপজেলা থেকে মাত্র ৪০ মিনিটে ট্রলার যোগেনিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।উপজেলা সদরে আবাসিক হোটেল ছাড়াও এখানেরয়েছে জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত জেলা পরিষদডাক বাংলো, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলো, কারিতাস ডাক বাংলো প্রভৃতি। তজুমদ্দিন উপজেলা জনৈক তমিজউদ্দিন এর নামানুসারে এ উপজেলারনামকরণ করা হয়। উপজেলার পূর্বে মেঘনা নদী,উত্তর ও পশ্চিমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা এবংদক্ষিণে লালমোহন উপজেলা। ১৮৭২ সালের ১৫ইজানুয়ারীর জরীপে ইহাকে দৌলতখাঁ থানার একটিআউটপোষ্ট হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।২৮/০৮/১৯২৮ ইং তারিখ থেকে এই থানাটি একটিআলাদা থানার মর্যাদা পেয়ে আসছিল। মনপুরা এইথানার একটি ইউনিয়ন ছিল। নদীভাঙ্গনে এই থানাঅতি সংকুচিত হয়ে আসছে। অপর দিকে যাতায়াতও অন্যান্য কারণে মনপুরা আলাদা থানার স্বীকৃতিপাওয়ায় ইহার আয়তন আরো কমে যায়।১৪/০৩/১৯৮৩ তারিখে ভোলা জেলার দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। লালমোহন উপজেলা লালমোহন নামকরনে ইতিহাস একটিব্যতিক্রম ঘটনা। আনুমানিক ১৯০৪ সালের দিকেবিভিন্ন পারিপার্শিক অবসা্থান ও সুযোগ সুবিদাবিবেচিত করে সাথানীয় মরহুম মেহের আলী তারনিজস্ব ভূমির ইপর একটি সাধারন হাট বা বা্জারপ্রতিস্টা করেন নিজের নাম অনু সারে এর নামরাখেন “মেহের গঞ্জ”।১৯১৯ সালের ৭ই জানুযারীআনুষ্ঠানিক ভাবে লালমোহন থানার কার্যক্রম শুরুহয়। কিভাবে যাবেন ভোলাতে ??? ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে। কর্নফুলি ও তাসরিফ লঞ্চ চলাচল করে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। ছাড়ার সময় রাত ৮ – ৯ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ সদরঘাট …
Read more “ঘুরে আসুন ভোলা জেলায়”
Like this:
Like Loading...