তিন হাজারের অধিক সংখ্যক লোকজন নিয়ে বিবিএম গ্রুপ সম্বনিত হয়ে গড়ে তুলেছে একনিষ্ট পরিবার। বিভিন্ন ধরনের অংশগ্রহনমূলক কাজে জড়িত হয়ে থাকে এই বিবিএম গ্রুপ।
বিশেষ করে বিবিএম গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর প্যাকেজের কাজ নিয়ে অগ্রসর হয়ে থাকে। দেশ এবং দেশের বাহিরে ভ্রমন নিয়ে আছে বিবিএম গ্রুপের অগ্রগামী ভূমিকা। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন বিষয়ক মেলা নিয়ে কাজ করে থাকে বিবিএম গ্রুপ।
এছাড়া করনা ভাইরাস এবং অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে জড়িত থাকে বিবিএম গ্রুপ। বিবিএম গ্রুপের কর্ণধার শুভ তার ভ্রমন বিষয়ক অনেক কথা হয়েছে আমাদের tourism-bd.com এর সাথে। বিবিএম গ্রুপ যেন ভাল কাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য শূভ কামনা রইল।
দেশের ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারী সংক্রমণের পর থেকে প্রায় সব রকম ছোট-বড় হোটেল-রেস্তরাঁ বন্ধ রয়েছে। সর্বস্তরের মানুষকেই যখন লকডাউনে প্রায় গৃহবন্দী থাকতে হচ্ছে, তখন হোটেল-রেস্তরাঁ খোলা থাকে কিভাবে। সেসব হোটেল-রেস্তরাঁয় যাবে কে বা কারা? আর খাবেই বা কি? সবই তো ঝুঁকিপূর্ণ। করোনাকালে সংক্রমণের ছোঁয়াছানির খাবার গ্রহণসহ সরবরাহে রয়েছে নানা বিধিনিষেধ ও নিয়ম-কানুন। এর ফলে হোটেল-রেস্তরাঁর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা। রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হোটেল-রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। তদুপরি গত দুই বছর ধরে রাজধানীর চকবাজারের সুখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজারসহ রকমারি ইফতার সামগ্রী বেচাকেনা ছিল প্রায় বন্ধ। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সারা দেশে হোটেল-রেস্তরাঁ রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০ হাজার। এতে কর্মসংস্থান হয় ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী-বাবুর্চি-বয়-বেয়ারার। সব মিলিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ। তাদের এবার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধেকের হয়েছে মালিকানা বদল। করোনকালে শুধু টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইনে ডেলিভারি দিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁ খুলে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এর পরিমাণও ২/৩ শতাংশের বেশি নয়। এমতাবস্থায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তরাঁ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন হোটেল-রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। উল্লেখ্য, সরকার লকডাউনের সময়সীমা ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহনসহ লঞ্চ-স্টিমার-ট্রেন খুলে দেয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সেক্ষেত্রে হোটেল-রেস্তরাঁর মালিকদের দাবিও মেনে নেয়া বাঞ্ছনীয়। তবে এসব যেন চালু করা হয় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভেজালমুক্ত অবস্থায়।
রাজধানীসহ সারাদেশে খাদ্য ও পানীয়তে নানা মাত্রায় ভেজালের বিষয়টি সুবিদিত, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য সমূহ ক্ষতিকর ও হুমকিস্বরূপ। আরও যা দুঃখজনক তা হলো, রমজান, ঈদ উৎসব ও বাংলা নববর্ষে ভেজালের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় বহুগুণ। তার মানে দাঁড়ায়- যত চাহিদা তত ভেজাল। আগে সময়ে সময়ে ভেজাল প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হোটেল-রেস্তরাঁ-পানি ও কোমল পানীয় তৈরির কারখানাগুলোতে পরিচালিত হতো অভিযান। এ সময় যা দেখা যেত, তা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রীতিমতো হুমকি তো বটেই, পীড়াদায়কও। অনেক হোটেল-রেস্তরাঁই অত্যন্ত নোংরা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন তো বটেই; এমনকি টয়লেটের পাশেই রান্নাঘর, যা যে কোন মানুষের ঘৃণাসহ বমন উদ্রেক করার জন্য যথেষ্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্যে ভেজাল ও অপরিচ্ছন্নতার জন্য যৎসামান্য জরিমানা এবং ম্যানেজারসহ দু’চারজনকে জেল দ- দিলেও মালিকপক্ষকে কখনই কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। অতঃপর ভেজাল প্রতিরোধে গঠিত হয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তারা পর্যায়ক্রমে হোটেল রেস্তরাঁয় গ্রেডিং শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি প্রধানত করোনার কারণে। কোন হোটেল-রেস্তরাঁ- কনফেকশনারিই এখন পর্যন্ত এ-প্লাস অর্জন করতে পারেনি। রাজধানীবাসীর জন্য এটা খুবই দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় বৈকি।
প্রতিদিন অনেক মানুষ দেশের নানা স্থান থেকে নানা কার্যোপলক্ষে এসে থাকেন রাজধানীতে। বিশ্বের নানা স্থান থেকে আসেন বিদেশী পর্যটকরা। ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রয়োজনে তাদের অনিবার্য শরণাপন্ন হতে হয় হোটেল-রেস্তরাঁগুলোর। তবে দুঃখজনক হলো অন্তত এই মুহূর্তে সুনিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, অমুক রেস্তরাঁর খাবার ও পানীয় শতভাগ ভেজাল ও জীবাণুমুক্ত এবং নিরাপদ। পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত রেস্তরাঁ অবশ্যই আছে, তবে তাদের রান্না করা খাবার এবং পানীয় সর্বাংশে বিশুদ্ধ এমন নিশ্চয়তা মিলবে কিসের ভিত্তিতে? করোনার দুঃসময়ে যেন তা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে হোটেল-রেস্তরাঁর মারিকদের। এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও (বানিখাক) ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বিপন্ন প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বানরটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রগুনন্দন পাহাড়ের পার্শবর্তী গ্রাম শাহপুর থেকে বানরটি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বানরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। বানরের শারীরিক অবস্থা ভালো মনে হলে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বানরটি অবমুক্ত করা হয়।
বহুল সংক্রমণ করোনার বিস্তারে দেশের বিভিন্ন খাতের ওপর সমূহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনসৌধে অনাবশ্যক ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় জীবনযাত্রার নানাবিধ উপকরণ, সচল অর্থনীতির চাকাও হোঁচট খাওয়ার দুর্দশা সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেলে দেয়। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা শ্যামল বাংলার অকৃত্রিম প্রাকৃতিক সম্ভার বিশ্বের বৃহৎ এই বদ্বীপটির এক অবিস্মরণীয় সম্পদ। নদীবিধৌত ও সমুদ্র পরিবেষ্টিত আবহমান বাংলা যেমন আপন ঐশ্বর্যের অনবদ্য যোগসাজশে তার কোলের সন্তানদের ছায়ায়-মায়ায় পরিপূর্ণ করে রেখেছে, পাশাপাশি ভিনদেশী মানুষদেরও আকর্ষণ করার প্রাসঙ্গিক সব আয়োজন সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে যুগান্তকারী ভূমিকাও রাখছে। সঙ্গত কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই পলিমাটির বাংলায় ভিনদেশী পরিব্রাজক, রাজা-বাদশা থেকে শুরু করে ইউরোপীয় সভ্যতার ধারক-বাহকরাও এদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে এনে বছরের পর বছর শাসনও করে গেছে। সুতরাং পর্যটন শিল্পের এক অভাবনীয় অর্থকরী অভিযোজন বরাবরই এদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির এক অনবদ্য মাইলফলক। পর্যটন শিল্পের কারণে ঐতিহাসিক, ঐতিহ্যিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁও তাদের ব্যবসায়িক পশরা সাজিয়ে ভ্রমণকারীদের আনন্দযোগের আয়োজন করে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। করোনার লাগামহীন সংক্রমণ স্থবিরতার জাল বিস্তার করেছে এই পর্যটন শিল্পের অবারিত কর্মযোগেও। মানুষের সঙ্গে মানুষের ফারাক তৈরি করে সামাজিক দূরত্ব মেনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ভ্রমণের ওপরও যে নিষেধাজ্ঞা বর্তায় সেখানে পর্যটনের খাতটি সমূহ লোকসান গুনতে গুনতে এখন ক্লান্ত, বিপন্ন। সুতরাং হোটেল-রেস্তরাঁর স্বত্বাধিকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবার করোনার কবল থেকে তাদের ব্যবসায়িক কর্মযোগকে মুক্ত করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সভা-সমিতি করে যাচ্ছেন। স্থবিরতার আবর্তে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকেও অবাধ ও মুক্ত করতে সংশ্লিষ্টরা সরকারী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
করোনায় পর্যটনে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার লোকসান গোনার চিত্র ইতোমধ্যে উঠেও এসেছে। করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের ওপর যে বিধিনিষেধ জারি করা হয় তেমন বদ্ধ দুয়ার এখন অবধি অবারিত হয়নি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, করোনা আক্রান্ত প্রায় সব দেশেই ভ্রমণের ওপর যে প্রাচীর খাড়া করা হয় তাও এই পর্যটন খাতকে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখোমুখি করে। ইতোমধ্যে করোনার টিকা আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক গবেষণার অভাবনীয় উদ্যোগ। বিভিন্ন দেশ নানা সুযোগ-সুবিধায় এই টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় এলেও এখন পর্যন্ত খুব কমসংখ্যক মানুষই টিকা নিতে পেরেছেন। নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের সঙ্কটে সব জায়গায় পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও দর্শনীয় স্থাপনাগুলো খুলে দিয়ে ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধের শিথিলতা আসতেও সময় লাগছে না।
প্রথম ঢেউ সামলানোর পর পর্যটন খাত কিছুটা অবারিত হলে সংশ্লিষ্টরা তাদের সমূহ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে দিলে আবারও পর্যটন শিল্প বিপন্নতার শিকারও হচ্ছে। এমন বেহাল দশা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে সামাজিক দূরত্ব মেনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন, মাস্ক পরারও অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে এই লাভজনক খাতটিকে উন্মুক্ত করতে পরামর্শ আসে সংশ্লিষ্ট সংগঠন টোয়াব থেকে। তা না হলে লোকসানের আবর্তে পড়া এই খাতটির আরও বড় রকমের দাম দেয়ার আশঙ্কাও সংশ্লিষ্টদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। সঙ্গত কারণে সরকারের এই বিশেষ শিল্পটিকে তার যথাযথ অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে নতুন উদ্যোগ ও কর্মসূচী একান্ত জরুরী। পর্যটন শিল্পের কর্তৃপক্ষ এবং উর্ধতন কর্মকর্তারাও তেমনটাই চান।
ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো জনপ্রিয় দুই গেম বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে। এর আগে পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরে আবার চালু করা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সুপারিশ করা হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়। সেখানে ওই দুই গেমের আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। সম্প্রতি ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে।
হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারবেন। আমরা সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবো। গেরিনা ফ্রি ফায়ার (ফ্রি ফায়ার ব্যাটলগ্রাউন্ডস বা ফ্রি ফায়ার নামেও পরিচিত) একটি ব্যাটল রয়্যাল গেম। ২০১৯ সালে এটি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ডাউনলোড করা মোবাইল গেম হয়ে উঠেছে। জনপ্রিয়তার কারণে, গেমটি ২০১৯ সালে গুগল প্লে স্টোর দ্বারা ‘সেরা জনপ্রিয় ভোট গেম’ এর জন্য পুরস্কার পেয়েছিল। ২০২০ সালের মে পর্যন্ত ফ্রি ফায়ার বিশ্বব্যাপী দৈনিক ৮০ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীদের সঙ্গে একটি রেকর্ড তৈরি করে। গেরিনা বর্তমানে ফ্রি ফায়ারের উন্নত সংস্করণে কাজ করছেন যা ফ্রি ফায়ার ম্যাক্স নামে পরিচিত।
গেমটি অন্য খেলোয়াড়কে হত্যা করার জন্য অস্ত্র এবং সরঞ্জামের সন্ধানে একটি দ্বীপে প্যারাসুট থেকে পড়ে আসা ৫০ জন ও তার অধিক খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুক দিয়ে মসজিদে মুসলমানদের হত্যা এবং সেই দৃশ্য ফেসবুক লাইভের বিষয়টি অনেকেই পাবজির সঙ্গে তুলনা করেন। সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। অনলাইন গেম ‘প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ডস’ (পাবজি)। সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব ও শিক্ষার্থী- কিশোর-কিশোরীদের সহিংস করে তুলছে এমন আশঙ্কা থেকেই গেমটি বন্ধ করা উচিত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পাবজি গেমটির মোবাইল ভার্সনে একসঙ্গে অনেকজন মিলে অবতরণ হন এক যুদ্ধক্ষেত্রে। যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন সিঙ্গেল সেনা বেঁচে থাকছেন যুদ্ধে ততক্ষণ খেলে যেতে হয়। ২০১৮ সালে অ্যাঙ্গরি বার্ড, টেম্পল রান, ক্যান্ডি ক্রাশের মতো গেমগুলোকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেমের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয় পাবজি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে দেশে জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি। দক্ষিণ কোরিয়ার গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েল এর অনলাইন ভিডিও ২০১৭ সালে চালু হয়। এরপর থেকে এই গেমটি দ্রুত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে চায়না প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে তৈরি করা যুদ্ধ গেম ফ্রি ফায়ার একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই গেম দুটির ব্যবহারের ফলে দিনে দিনে এর অপব্যবহার এর মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এর ফলে তরুণ প্রজন্ম যাকে কিশোর গ্যাং বলা হয়। এরা চরমভাবে বিপথগামী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে করোনা মহামারির ফলে স্কুল, কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে অন্যদিকে অনলাইনভিত্তিক ক্লাস হওয়ার ফলে অভিভাবকরা তার সন্তানদের হাতে সহসাই ল্যাপটপ, মোবাইল ডিভাইস তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সুযোগের বেশির ভাগ অপব্যবহার ঘটছে। এমনকি তরুণ প্রজন্ম এই গেম দুটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাই এই গেম দুটি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, গত ২১শে মে চাঁদপুরে মামুন (১৪) নামে এক তরুণ মোবাইলের ডাটা কেনার টাকা না পেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে। আমরা যখন আগামীর তরুণ প্রজন্মকে সহজলভ্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি ঠিক তখন আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হয়েছে। যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুত এবং দ্রুততার সহিত এই গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধ এবং ভালো দিক তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়তে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের গেম খেলার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে গেম খেলার পাশাপাশি ভার্চ্যুয়ালে অর্থ লেনদেন হচ্ছে এমএমএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি ও পরিবার।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলে আছড়ে পড়েছে। সামুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিতে ভাঙ্গন ধরেছে। সেন্টমার্টিনের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে কিছু এলাকা, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ ও সদর উপজেলার বেশকিছু এলাকা ভাঙ্গা বেড়িবাধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
সেন্টমার্টিনের সংবাদকর্মী আব্দুল মালেক সংবাদকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আতংকে দ্বীপের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছিলো। তার চেয়ে বেশি আঘাত হানছে প্রবল জোয়ারে। জোয়ারের পানিতে দ্বীপের পাড়ের গাছপালা উপড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ভাঙ্গছে রাস্তাঘাট। তাই তার মতো দ্বীপের সব বাসিন্দারা ভয়ে আছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা নুর আহমদ সংবাদকে জানান, বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জোয়ারের পানির তোড়ে দ্বীপের একমাত্র জেটির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। টেকনাফের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় স্থানীয়রা নিজ নিজ বাড়িতে এবং হোটেল/রিসোর্টে অবস্থান করছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লে. কমান্ডার রাসেল মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, দ্বীপে সব মিলিয়ে বাসিন্দা রয়েছে ১০ হাজার ২৬ জন। ইতিমধ্যে দ্বীপের হোটেল, রিসোর্ট, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ৬ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের পানিতে জেটির পল্টুন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সকল ধরণের ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। টেকনাফে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০টি অধিক ট্রলার। আর ছোট ট্রলার, নৌকা ও স্পীডবোট সমূহ দ্বীপের উপকূলে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আশা করি, সবার সমন্বয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা সম্ভব হবে।
মহেশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শরীফ বাদশা সংবাদকে জানান, ধলঘাট, মাতারবাড়ীর বেড়ীবাধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল সংবাদকে জানান, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, পোকখালী ইউনিয়নের বেশকিছু পয়েন্টে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ সংবাদকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ লোক নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে আসতে মাইকিং করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষনিক কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও নৌযান প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপিপি) ৬ হাজারসহ ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৫৭৬ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্টান ও ২৫টি মুজিব কিল্লায় মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ৮ উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। কক্সবাজার শহরের অন্তত তিনটি এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কেও আঁচড়ে পড়ছে জোয়ারের পানি।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রবল জোয়ারের পানিতে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা। ভাঙ্গন ধরেছে জেটির পল্টুনে ও রাস্তাঘাটে। তবে মানুষের জানমাল রক্ষায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে বেড়িবাঁধের ব্লকে ধ্বস নেমেছে।
জোয়ারের পানিতে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। ইতোমধ্যে ৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। উপড়ে গেছে গাছপালা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে খাদ্য সহয়তা দেয়া হচ্ছে। রাতে জোয়ারে পানির উচ্চতা আবারও বৃদ্ধি পেলে এবং তা লোকালয়ে ঢুকে পড়লে তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং, আলী আকবর ডেইল ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।
এ নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানিয়েছেন, কক্সবাজার উপকূলের ঝূঁকিতে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছিল দু’দিন আগেই। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবকদের। মানুষের জানমাল রক্ষায় আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এর ঝুঁকি থেকে কক্সবাজার মুক্ত বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ৩ নং সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সাগর এখন খুবই উত্তাল।
ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে বন্ধ থাকার দুই দিন পর অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ফলে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
তবে এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট নৌযান ছাড়া বাকি সব নৌযান চলাচল করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ রয়েছে। যে কারণে এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট ছোট নৌযান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে এক নির্দেশনায় গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
বর্তমানে অনেকেই ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভোগেন। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার বৃদ্ধি ডেকে আনে নানা বিপদ। রক্তে শর্করার পরিমাণ তাই নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই আবশ্যক। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে যেমন কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, চোখের সমস্যা ইত্যাদি নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, আবার শর্করার পরিমাণ কমে গেলেও কিন্তু বিপদ। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই আবশ্যক।
পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শরীরচর্চা ইত্যাদি নানা ভাবে অনেকই শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকেন, কিন্তু প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন এক পানীয় আছে যা খুব সহজলভ্য ও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে যার জুড়ি মেলা ভার।
ডাবের পানি। ডাবের পানি খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন ডাবের পানিটি যাতে কম মিষ্টি যুক্ত হয়। নিয়মিত ১ কাপ থেকে ২ কাপ ডাবের পানি পান করা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রনে উপযোগী। আসুন দেখেনি ডাবের পানি কিভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরকে সতেজ রাখে।
ডাবের পানি নানা খনিজ পদার্থ সম্বৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। এতে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ও ডাবের পানি ভীষণ উপকারী পানীয়।
মধুমেহ বা ডায়াবেটিস থাকলে অনেক সময় রোগীর রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে চোখের সমস্যা, কিডনি বিকল হওয়া, হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। ডাবের পানি দেহে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ বলে চিকিৎসকরা বিবেচনা করেন। তাই ওজন হ্রাস করতে চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ডাবের পানিতে প্রচুর ফাইবারে সম্বৃদ্ধ। যা মানবদেহে উপযোগী। ডাবের পানিতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে। এর ফলে দেহের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে, খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী।
নাসার ‘ক্লিন এয়ার স্টাডি’ অনুসারে কিছু সাধারণ ইনডোর প্ল্যান্ট আমাদের বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাস যেমন- ফর্মালডিহাইড, বেনজিন বা অ্যামোনিয়া থেকে শোষণ করে ঘরের বাতাসকে প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ করে।
স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী দুষিত বায়ু আমাদের গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ, এর ফলে ২০১৬-১৭ সালে বিশ্বব্যাপী ৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নাসার পরীক্ষিত কিছু ইনডোর প্ল্যান্টসগুলো হলো:
স্নেক প্লান্ট
নাসার গবেষণায় এই ‘গার্ডেন মাম’ বাতাস পরিষ্কার করার জন্য অন্যতম সেরা একটি গাছ। এই গাছ ঘরের ভেতরের বাতাস থেকে প্রচুর পরিমাণ অ্যামোনিয়া, বেন্জেনে, ফর্মালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, জাইলিন দূর করে থাকে। জনপ্রিয় এই গাছটি অল্প খরচেই ঘরের টবে লাগানো যায়।
পিস লিলি
চমৎকার একটি বায়ু পরিশোধক গাছ। অল্প আলোতেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। এর হলুদ পাতা বুঝিয়ে দেবে সে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রোদ পাচ্ছে। স্বাভাবিক পরিমাণে পানি দিলেই যথেষ্ট। ঘরের বাতাস থেকে বেনজিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিন শোষণ করে। এতে গ্রীষ্মে ফুটবে খুব চমৎকার সাদা ফুল। তবে বিড়াল, কুকুর আর বাচ্চাদের কাছে থেকে দুরে রাখুন এ গাছ। কারণ গলায় বা পেটে গেলে চুলকাবে।
স্পাইডার প্লান্ট
এটি কার্বন মনোক্সইড, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, চামড়ায় ও রাবার থেকে নির্গত দূষণ শোষণ করে। গোড়ার মাটি শুকিয়ে গেলে এরপর পানি দিন। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দুরে রাখুন।
বাঁশ পাম গাছ
বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড পরিশোধন করার সবচেয়ে কার্যকরী গাছ হচ্ছে বাঁশ পাম গাছ। পর্যাপ্ত সূর্যের আলোতে বেড়ে ওঠা এই গাছ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। প্রচুর পরিমাণ বাতাস পরিশোধন করতে পারে। বাঁশ পাম গাছ বাতাস থেকে বেন্জেনে, ফর্মালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন নামক বিষাক্ত দূষণ মুক্ত করে। এটি দেখতে ছোট নারিকেল গাছের মত। আসবাপত্রের পাশে ছায়া যুক্ত জায়গায় রেখে দিন। আসবাপত্র থেকে নির্গত দূষণ শুষে নিবে। খুব বেশি পানি দিলে শিকড় পঁচে যেতে পারে। এছাড়াও পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্লান্ট
যে কোনো পরিবেশে বেঁচে থাকার অদ্ভুত ক্ষমতা রাখে। আলো ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে, তেমন কোনো যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। আপনার ঘরের যেকোনো কোনায় এই লতানো গাছটি দূষণ শোষণ করে বাতাসকে বাসযোগ্য করে রাখবে। এটি বেনজিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিন শোষণ করে।
অ্যালোভেরা
একটি দুর্দান্ত বাতাস বিশুদ্ধকারী প্ল্যান্টস। রান্না ঘরের পাশে ছোট বারান্দায় যেখানে রোদ আসে সেখানের জন্য একটি বাড়তি সংযোজন হতে পারে। কিচেনে রান্না করার জন্য উচ্চতাপমাত্রা থাকে। এই তাপমাত্রা কমানোর জন্য অ্যালোভেরা প্ল্যান্টস ৯০% ফর্মালডিহাইড ও বেনজিন দূর করে বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এছাড়াও বাতাসের বিষাক্ত ধূলিকণাগুলো নির্মূল করে বাতাসের গুনগত মান নিশ্চিত করে।
উইপিং ফিগ
এটি ওয়েপিং ফিগার বা ফিকাস ট্রি নামেও পরিচিত। নাসার স্টাডি অনুসারে, এই বাড়ির প্ল্যান্ট ইনডোর-এয়ার টক্সিন ফর্মালডিহাইড এবং জাইলিন অপসারণে দক্ষতার সাথে সক্ষম।
রাবার প্ল্যান্ট
ফিকাস ইলাস্টিক (সবচেয়ে বেশি রাবার প্ল্যান্ট, রাবার ট্রি বা রাবার ট্রি গাছ হিসাবে পরিচিত) এটি একটি জনপ্রিয় হাউজপ্ল্যান্ট কারণ এর মোমের প্রলেপযুক্ত পাতার জন্যে। গৃহপালিত হাউজপ্ল্যান্ট হিসাবে রাবার গাছ ছয় থেকে দশ ফুট লম্বা পর্যন্ত যে কোনও জায়গায় বৃদ্ধি পায়। রাবার প্ল্যান্ট তাদের অপ্রতিরোধ্য উচ্চতা এবং সুন্দর পাতার জন্য পরিচিত। সূত্র: মাশরিটা নেচার ক্লাউড।
We use cookies to optimize our website and our service.
Functional
Always active
The technical storage or access is strictly necessary for the legitimate purpose of enabling the use of a specific service explicitly requested by the subscriber or user, or for the sole purpose of carrying out the transmission of a communication over an electronic communications network.
Preferences
The technical storage or access is necessary for the legitimate purpose of storing preferences that are not requested by the subscriber or user.
Statistics
The technical storage or access that is used exclusively for statistical purposes.The technical storage or access that is used exclusively for anonymous statistical purposes. Without a subpoena, voluntary compliance on the part of your Internet Service Provider, or additional records from a third party, information stored or retrieved for this purpose alone cannot usually be used to identify you.
Marketing
The technical storage or access is required to create user profiles to send advertising, or to track the user on a website or across several websites for similar marketing purposes.