৮৬ বছর আজ তুর’স্কের বিশ্ব’বিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন আয়া সোফিয়ায় অনু’ষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আ’জহার নামাজ। গতকাল বৃহস্প’তিবার স্ম’রণীয় এ ঈদুল আজাহার নামাজের জন্য আয়া সোফিয়া ম’সজিদের দেওয়াল ও সেজাদার স্থানে ছেটানো হয় গো’লাপের পানি।
ইস্তা’ম্বুল সিটি কর্পো’রেশনের তত্ত্বাবধানে ম’সজিদের ভেতর ও বাইরের প্রা’ঙ্গণের পরিষ্কার-পরিচ্ছ’ন্নতার কাজ সম্পন্ন হয়। পরিষ্কা’রের পর আয়া সোফিয়ার দেওয়াল ও সে’জদার স্থান’গুলোতে
স্পার্টা থেকে আনা গো’লাপের পানি ছেটানো হয়। এ সময় দর্শনার্থীরা নির্ধারিত সীমা’রেখার বাইরে অ’পেক্ষমান থাকে।
এদিকে করো’না বিস্তাররোধে ইস্তাম্বুল সিটি কর্পোরে’শনের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজ আদায়ে আগত মু’সল্লিদের স্বাস্থ্য’বিধি মানার অনুরোধ করা হয়। মাস্ক পরে জায়নামা’জসহ নির্ধারিত স্থানে ধীরস্থির ভাবে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
তাই ঈদের জামাতের সময় মু’সল্লিদের নিরাপদ দূলত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়। গত ১১ জুলাই তুর’স্কের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপ’রিষদের জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এরপর তুরস্কে’র প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ
এর’দোয়ান শুক্র’বার (২৪ জুলাই) থেকে নিয়মিত নামাজ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন। অ’তঃপর তুরস্কের ধ’র্ম বিভাগের প্রধান কর্মক’র্তা ড. আলি আরবাশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত সপ্তাহে প্রথম বারে মতো
জুমা’র না’মাজ অনু’ষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, আয়া সোফিয়া ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাই’জান্টাইন সম্রা’জ্যের অর্থডো’ক্স খ্রিস্টা’নদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ ইস্তাবুল
বিজয় করে তা ক্রয় করেন এবং ম’সজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দেন। ৪৮১ বছর পর ১৯৩৪ সালের ২৪ নভে’ম্বর কামাল আতাতু’র্কের মন্ত্রীপ’রিষদ এটিকে জাদুঘরে পরিণত করে। ৮৬ বছর পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবার তা ম’সজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু হবে।