
নৌকার নাম ‘বারকি’। লম্বা আকৃতির। দৈর্ঘ্যে ৩৬ ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৪ ফুট। সামনে ও পেছনে কাঠের তক্তা দিয়ে একাধিক বসার স্থান। গলুইয়ের এক পাশে বসে চালাতে হয় নৌকা। নৌকার মাঝখান পুরোটা ফাঁকা। এই ফাঁকা জায়গায় বহন করা হয় বালু অথবা পাথর। বর্ষাকালে শ্রমজীবীদের জলজীবিকার হাতিয়ার এই বারকি।
‘বারকি বাওয়ায় বাড়তি শ্রম’। ‘বারকি বাওয়া’ সিলেট অঞ্চলে বালু-পাথর মহাল এলাকায় বর্ষাকালীন আরেক পেশা। বর্ষার এই সময়ে আলাদা করে বারকি তৈরি হয় শুধু সিলেটেই, ব্যবহৃতও হয় সিলেটে। নৌকার হাটে বারকি থাকে কেনাবেচার শীর্ষে।
সিলেট অঞ্চলের একটি পুরোনো হাট সালুটিকর। তিনটি উপজেলার মিলনস্থলে হাটটির অবস্থান, যেন এক হাটে গিয়ে তিন উপজেলায় পদচারণ। যোগাযোগে সালুটিকর–নাওবাজারের যাতায়াত অনেকটা নাও-নদীময়। কবে থেকে বারকির কেনাবেচা? সম্প্রতি এক হাটবারে এমন প্রশ্নে ক্রেতা-বিক্রেতারা বিস্ময়ের মুখে পড়েন। নির্দিষ্ট কোনো সন-তারিখ জানা নেই তাঁদের। শত বছর আগে বলে এড়িয়ে যান অনেকে।