জিয়াউল হক পলাশ। নির্মাতা ও অভিনেতা। বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলার পয়েন্ট-সিজন ২’। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
পলাশের বদলে এখন ‘কাবিলা’ ও ‘পারভেজ’ নামে বেশি পরিচিত। বিষয়টি কেমন লাগে?
আসল নামের বদলে অভিনীত চরিত্রের নামে দর্শক ডাকছেন- আমার জন্য এটা অন্যরকম ভালো লাগার বিষয়। ‘কাবিলা’ ও ‘পারভেজ’ চরিত্র দুটিতে দর্শক নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছেন বলেই তাদের ভালো লাগা প্রকাশ করছেন। অনেকে ফোনে বলেছেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের ‘কাবিলা’ ও ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকের ‘পারভেজ’ চরিত্রে পরিচিত মানুষের ছায়া খুঁজে পেয়েছে। অভিনয়ের সার্থকতা তো এখানেই যে, আমি চরিত্রগুলো দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে পেরেছি।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট- সিজন ২’ নাটকের জনপ্রিয়তার পেছনে কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনার কাছে মনে হয়েছে?
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-সিজন ২’ নাটকের গল্পই হলো প্রাণ। ঢাকায় বসবাসকারী কয়েকজন ব্যাচেরের জীবনের নানা সমস্যা আর সীমাবদ্ধতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। যার সঙ্গে অনেকের বাস্তব জীবনের মিল আছে। এ কারণেই নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
আপনার কি মনে হয় না, অভিনীত চরিত্রগুলো একই রকম হয়ে যাচ্ছে?
চরিত্র পরিচালক নির্বাচন করে দেন। তার পরও একই রকম হলে চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব চরিত্রকে একটু ভিন্নভাবে পর্দায় তুলে ধরার।
নাটকে আপনাকে মাঝে মাঝে কবিতা আবৃত্তি করতে দেখা যায়। এত কবিতা মুখস্থ রেখেছেন কীভাবে?
নাটকে আমি যেসব কবিতা আবৃত্তি করি, তার সব কবিতা চিত্রনাট্যে লেখা থাকে না। দর্শক বিনোদন দিতে নিজেই এখন ‘কবিতা তৈরি’ এবং আবৃত্তি করে যাচ্ছি। নাটকের কবিতাও এখন ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে।
পরিচালনা নাকি অভিনয়- কোন কাজটি বেশি ভালো লাগে?
পরিচালনার জন্য মিডিয়ায় এলেও হঠাৎ করেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি। এখন দুটি কাজই ভালো লাগে।
নির্মাণের বিষয়ে নিজস্ব কোনো ভালো লাগা আছে?
সাহিত্যনির্ভর সিনেমা বানানোই আমার স্বপ্ন। তাই যখন কোনো সিনেমা পরিচালনার সুযোগ পাব, কালজয়ী গল্প নিয়ে কাজ করব।