গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এবারের মেলায় প্রায় ৫০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাও রয়েছে।
তিনি বলেন, মেলায় আমাদের ফোকাস ছিল এজেন্টদের নিয়ে, তাদের জন্য আমাদের একটা স্পেশাল প্রমোশন ছিল। এছাড়া ক্লায়েন্টের জন্য কিছু প্যাকেজ ছিল। আমাদের টিকিটে ১০ শতাংশ অফার ছিল। আশাতীত সাড়া পেয়েছি। আশা করি আমরা সামনের বার আরও ভালো সাড়া পাব।
জানতে চাইলে নোভো এয়ারের নির্বাহী পরিচালক মফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন সব কিছু বন্ধ থাকায় এবারের মেলাকে মানুষ সাদরে নিয়েছে এবং স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মানুষের উপস্থিতিতে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। আমি মনে করি বড় একটা সম্মিলন হলো এবং মেলার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। বড়ো একটা ব্রেক হলো।
সেন্ডস হোটেল এন্ড বিসট লিমিটেডের পরিচালক সাহাদাত হোসেন বাহারেরও কণ্ঠে একই সুর ধ্বণিত হলো। তিনি বলেন, অনেকে বুকিং দিয়েছে। সবচে বড় কথা মেলাতে একটা মেলবন্ধন ঘটেছে। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।
ট্রাভেল এন্ড টুরস অপারেটর প্রতিষ্ঠান ভিসতারা’র বিক্রয় কর্মকর্তা শাহেদ মহিউদ্দিন বলেন, পুরো ইন্ডাস্ট্রি এমন একটি মেলার অপেক্ষায় ছিল। প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশ হয়েছে। এমন সম্মিলন এভিয়েশন ইন্ডাষ্ট্রির জন্য ভালো দিক।
ঢাকা ট্রাভেল মার্ট চলাকালীন বিকালে ‘আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ফ্লাই ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মোহাম্মদ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, এয়ার এস্ট্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আসিফ এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামসহ অন্যরা।