করোনা মহামারীতে লোকসান গুনছে গাজীপুরের দুই শতাধিক রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট।
এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন ২৫ হাজারের বেশি কর্মী। আয় না থাকলেও বর্তমানে শতকোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে রিসোর্টগুলোর।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক খাতে প্রণোদনা দিয়েছে।
কিন্তু পর্যটন খাতে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা চান তাঁরা।
গত মার্চ ও এপ্রিলে গাজীপুরের রাজাবাড়ী এলাকার সারাহ রিসোর্টে বুকিং ছিল দেড় কোটি টাকার বেশি।
দেশে করোনা সংক্রমণের পর একের পর এক বুকিং বাতিল হতে থাকে।
সরকারি সিদ্ধান্তে গত ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ আছে ২০০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত দেশের অন্যতম বড় রিসোর্টটি।
এতে ওই দুই মাসে রিসোর্টটির আর্থিক ক্ষতি হয় কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকা।
তবে বন্ধ থাকলেও একাধিক সুইমিংপুল, জিম, খেলাধুলার হরেক রকমের মাঠ, শিশু কর্নার, বোটিং ইত্যাদিসহ আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে গড়ে ওঠা রিসোর্টটির কর্মীদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি মাসে ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা।
দুরবস্থার এ চিত্র শুধু সারাহ রিসোর্টের নয়, করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের দুই শতাধিক রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট।
সারাহ রিসোর্টের সেলস অ্যান্ড রিজার্ভেশন বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল আমাদের ভরা মৌসুম।
বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং দেশীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের এপ্রিল পর্যন্ত বুকিং ছিল। চীনে করোনার প্রভাব বিস্তারের পর এর ঢেউ আমাদের দেশেও এসে পড়ে।
বিদেশিরা আসতে না পারায় মার্চের শুরু থেকেই বুকিং বাতিল হতে থাকে। কমতে থাকে দেশীয় অতিথিদের সংখ্যাও।
রিসোর্ট বন্ধ থাকায় শুধু ওই দুই মাসেই আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।