রাজধানীতেও বন্যার পানি ঢুকছে

ঢাকার ডেমরার নলছাটা, দুর্গাপুর, তাম্বুরাবাদ, ধিত্পুর, খলাপাড়া, ঠুলঠুলিয়া, আমুলিয়া, মেন্দিপুর এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো বালু নদের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নলছাটার কিছু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।

জানা গেছে, এরইমধ্যে খিলগাঁওয়ের ডিএসসিসির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোর মধ্যে ইদারকান্দি, ফকিরখালী, দাসেরকান্দি ও গজাইরাপাড়ার রাস্তাঘাট এবং নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ডিএসসিসির ৬, ৭১ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চলগুলোরও একই হাল।

এদিকে, বন্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ঢাকার আশপাশের এলাকার মানুষও। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মায় পানি বেড়ে এলাকার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপত্সীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্কুল, বেড়িবাঁধসহ এলাকার মহাসড়কের ঢালে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও শতাধিক মাছের খামার ও ফসলি ক্ষেত।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উত্তরাঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা বানের পানিতে রূপগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
গতকালও শীতলক্ষ্যা ও বালু নদের পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
শতাধিক মাছের খামার ভেসে গেছে। ডুবে গেছে ফসলী জমি, রাস্তাঘাট।

মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রায় সব আঞ্চলিক পাকা সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিশেষ করে শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গত রবিবার রাতে পানির তোড়ে শিশুয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে সরিষাবাড়ী-মাদারগঞ্জ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
গাইবান্ধায় সব নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক ওপরে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.