করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে নিত্যনতুন ভালো-মন্দ সব ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মানুষের জীবনে একদিকে যেমন ধ্বংস নেমে আসছে, সেখানে আরেকদিকে প্রকৃতি ফিরে পাচ্ছে তার সজীবতা। তবে একটি বিষয়ে কোনো পরিবর্তন নেই। আর তা হলো পারিবারিক সহিংসতা।
ঘরের বাইরে এখন তীব্র উত্তেজনা কাজ করছে। কখন, কে, কীভাবে সংক্রমিত হতে পারে তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচা যাবে তার কোনো সঠিক উত্তর কারো কাছে নেই। সঠিক চিকিৎসা নেই, চিকিৎসা থাকলেও পর্যাপ্ত সামগ্রী নেই, সেগুলো থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বাঁচার পথ নেই অনেকের কাছেই। এরকম হাহাকারেও ওঁত পেতে রয়েছে কিছু মানুষরূপী নিকৃষ্ট প্রাণী। জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া ছুটির সময়টুকু তারা কাজে লাগাচ্ছে নির্যাতন ও অত্যাচার করার তাগিদে। কোনো পরিস্থিতি বা কোনো শিক্ষাই যেন তাদের সঠিক পথে আর আনতে পারছে না। আসলে এ ধরনের মানুষেরা শক্তি ও প্রভাব দেখানোর লালসায় নির্যাতন করার একটি অদ্ভুত মানসিকতা ছাড়তে পারে না। এর ফলে এই দুর্দিনেও বেড়ে চলেছে পারিবারিক সহিংসতা।সকলকে লকডাউনে রাখা বা নিজ নিজ বাসায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার না বাড়ে, অকালে কিছু মূল্যবান প্রাণ যেন ঝরে না পড়ে। তবে বিশ্বজুড়ে যেভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে চলেছে তা আরেকটি ধ্বংসকে আহ্বান জানাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খুব পরিচিত একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলা অনেকের কাছে অযৌক্তিক মনে হতে পারে। তবে বিষয়টি ভিত্তিহীন নয়। ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট মোতাবেক, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী ৫০,০০০ নারী পারিবারিক সহিংসতার কারণে মারা গিয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু রিপোর্টে যেভাবে সহিংসতা হার বাড়ার বিষয়টি ফুটে উঠছে তা ভবিষ্যতের একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।