
এক হাজার ৮০ ফুট উচ্চতার এক বিলাসবহুল হোটেল, যেন শহর ছাড়িয়ে মাথা তুলেছে মেঘের রাজ্যে। পিরামিডের আদলে নান্দনিক ত্রিকোণ শেপ আর স্থাপত্যের অভিনবত্ব ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গ করে তুলেছে তাকে। ঝাঁ চকচকে আভিজাত্যে মোড়া এই হোটেলে রয়েছে অতিথিদের জন্য আধুনিক মানের সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধা। এক কথায় পৃথিবীর যেকোনো দামি হোটেলের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে রিয়াংগং হোটেল। রূপে গুণে অদ্বিতীয় হয়েও তবু এই হোটেল যেন অভিশপ্ত।
গত ৩০ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে নিঃসঙ্গ সম্রাটের মতো একেবারে একা দাঁড়িয়ে রয়েছে এই হোটেল। আজ অবধি একজন মানুষও পা রাখেনি। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন নিশ্চয়ই, এমন নান্দনিক বিলাসবহুল হোটেলে যেখানে পর্যটকদের ভিড় জমে যাওয়ার কথা, সেখানে এমন শূন্যতা কেন? আজ অবধি একজন পর্যটকও কেন রাত কাটায়নি এই হোটেলে? তবে কি ব্যাপারটা ‘ভূতুড়ে’?
আসুন তাহলে, জেনে নেওয়া যাক উত্তর কোরিয়ার রিয়াংগং হোটেলের এই দুর্ভাগ্যের কাহিনি।
আজ থেকে ৩০ বছর আগে তৎকালীন হিসেবে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল এই হোটেল। হোটেলটি নির্মানে সময় লেগেছিল পাক্কা ছয় বছর (১৯৮৭-১৯৯২)। ৩৯ লাখ স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই রিয়াংগং হোটেল। যা উচ্চতায় প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও বড়। এই গগনচুম্বী অট্টালিকার সঙ্গে তুলনা করলে আশেপাশের বহুতল বাড়িগুলোকে পিগমির মতো মনে হয়। দুটো দশটা নয় এই হোটেলে পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য মজুত রয়েছে তিন হাজার ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল রুম। নামী-দামি ইন্টিরিয়রদের হাতে সেজে উঠেছে এই হোটেলের শয়নকক্ষগুলো। রাতের বেলায় বুর্জ খালিফার আলোর খেলা তো পৃথিবী বিখ্যাত।
উত্তর কোরিয়ার এই হোটেলের দেওয়ালেও প্রতি সন্ধ্যায় ফায়ারওয়ার্কের লাইভ শো হয়ে থাকে, যেন বুর্জ খলিফার মতোই। এই আলোর খেলা পুরো শহরটাকেই যেন মাতিয়ে তোলে রঙিন আলোয় রোশনাইয়ে।
অনেকেই ভাবছেন, যে এত অসাধারণ হোটেল, অথচ তার সম্পর্কে আজ পর্যন্ত তেমন কিছুই জানা যায় না কেন? এর প্রধান কারণ, রিয়াংগং নামের ১০৫ তলার এই বিশাল হোটেলটি অবস্থান করছে নর্থ কোরিয়ার ক্যাপিটাল পিয়াং ইয়ং শহরে। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক অবস্থা বা অবস্থান নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির উত্তরে চীন, উত্তর-পূর্বে রাশিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমে পীত সাগর অবস্থিত।
নিজেদেরকে ডেমোক্রেটিক বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে দাবি করে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ যার শাসনক্ষমতার টুঁটি ধরা আছে একটি মাত্র পরিবারের হাতে। ১৯৪৮ সাল, মানে একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই উত্তর কোরিয়ার শাসনক্ষমতা দখল করেছে আছে সেখানকার বিখ্যাত কিম পরিবার।
বিগত ৭৪ বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সিংহাসন দখল করে আছে এই একটিই পরিবার, তারাই এ দেশে গণতন্ত্রের শেষ কথা। কীভাবে? উত্তর কোরিয়া এমন এক দেশ যেখানে প্রতিবছর নির্বাচন হয় নিয়ম মেনে। ভোটাধিকার প্রয়োগও করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তারা ভোট দেন কাকে? প্রার্থী তো একজনই। আর সেই ক্যান্ডিডেট নিঃসন্দেহে নর্থ কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার অর্থাৎ কিম পরিবারেরই একজন। সোনার পাথরবাটির মতো প্রায় বিরোধীশূন্য এই গণতন্ত্র জন্মলগ্ন থেকেই বয়ে বেড়াচ্ছে আম্নোক আর তুমান নদীর দেশ।
রাজনৈতিক কূটকচালিতে না গিয়েও একটা কথা বলাই যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তর কোরিয়ার শত্রু অনেক। অন্য দেশের সঙ্গে এই দেশের সে অর্থে প্রায় কোনো রকম বাণিজ্যিক সম্পর্কই নেই বললেই চলে। বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনাও হাতেগোনা। একটা সামান্য পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। প্রতিবছর উত্তর কোরিয়া ভ্রমণে আসেন কমবেশি লাখ লাখ পর্যটক। এর ঠিক পাশের দেশ অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়াতে সেই সংখ্যাটাই প্রতিবছরে ১৭৫ লাখ। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার তুলনায় প্রায় ৫৮ গুণ বেশি পর্যটক পায় দক্ষিণ কোরিয়া।
এখন প্রশ্ন হলো, যেহেতু নিয়মকানুনের এমন বজ্র আঁটুনি আর পর্যটকের সংখ্যাও প্রায় হাতেগোনা, তাহলে কি দরকার ছিল কোটি কোটি ডলার খরচ করে তিন হাজার শয্যাবিশিষ্ট ১০৫ তলার এত বিশাল হোটেল তৈরি করার? এর পিছনেও আছে এক গল্প। ১৯৮৬ সালের কথা, ইউনাইটেড স্টেট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে তখন। এই ঠান্ডা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ নেয় উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া বেছে নেয় ইউনাইটেড স্টেট বা আমেরিকার পক্ষ। আগেই বলেছি ঠান্ডা যুদ্ধ, অর্থাৎ কোনো রকম অস্ত্রের ব্যবহার নয়, কেবলমাত্র কূটনীতির সাহায্যে নিজেদের ক্ষমতা তুলে ধরাই ছিল এই যুদ্ধের মূল লক্ষ্য। যুদ্ধের ফলাফল যাই হোক, এই ঘটনার পর থেকেই একটা পাকাপাকি চিড় পড়ে যায় উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে। একে অপরের প্রতিস্পর্ধী শক্তি হিসেবে জেগে ওঠে তারা। প্রতিবেশীর বদলে কীভাবে যেন দুজনেই দুজনের শত্রু হয়ে যায়। শুরু হয় রাজনৈতিক ইগোর লড়াই। প্রত্যেক ক্ষেত্রে একে অপরের চেয়ে এগিয়ে থাকার চেষ্টা। নিজের রাজনৈতিক তথা কূটনৈতিক অবস্থানকে ধ্রুব দেখানোর প্রয়াস। আর দুই দেশের এই ইগোর প্রতিযোগিতায় বলি হয় হোটেল রিয়াংগং।
১৯৮৬ সাল নাগাদ সিঙ্গাপুরে সব থেকে উঁচু এক বিলাসবহুল হোটেল তৈরি করে দক্ষিণ কোরিয়া। যেটা আজ স্ট্যামফোর্ড হোটেল নামে পরিচিত। এছাড়াও সেসময় ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকের জন্যও জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। বলা চলে, পুরো পৃথিবীর নজর এসে পড়েছিল কারিয়া প্রণালীর পাশের এই দেশটার দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশীর এই বাড়বাড়ন্ত মেনে নিতে পারছিল না উত্তর কোরিয়া। সেসময় নর্থ কোরিয়াতেও একটি বিশাল ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। প্রায় অলিম্পিকের সমতুল্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করতে ব্যয় হতে থাকে রাজকোষাগারের কোটি কোটি টাকা।
১৯৮৯ সাল নাগাদ এই উৎসব হওয়ার কথা ছিল। দেশ বিদেশ থেকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন ২২ হাজার অ্যাথলিট। সেইসময় দেড় লাখ লোক বসতে পারে এমন একটি ব্র্যান্ড নিউ স্টেডিয়াম এবং অংশগ্রহণকারীর জন্য তিন হাজার রুম বিশিষ্ট একটি হোটেল বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় নর্থ করিয়া। এই হোটেলটি ১০৫ তলাবিশিষ্ট হওয়ার কথা ছিল, যা উচ্চতায় অনায়াসে ভেঙে দেবে দক্ষিণ কোরিয়ার স্ট্যামফোর্ড হোটেলের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। শুধু তাই নয়, সেই সময় গোটা পৃথিবীতে মাত্র একুশটি বিল্ডিং এমন ছিল যাদের উচ্চতা ১০০ তলার উপর। সোজা কথায় উচ্চতার হিসেবে সেসময় রিয়াংগং হোটেলই হতে পারত বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল।
স্রেফ প্রতিযোগিতায় একটা দেশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তখন মরিয়া নর্থ কোরিয়া। বেশ জোরশোরসেই এই অভিনব নতুন হোটেলের ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা।
তখন কে জানত পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু হোটেল বানানোর স্বপ্নই একদিন কাঁটার মতো বিঁধে যাবে তাদের গলায়। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হলো। এত উঁচু বিল্ডিং বানানোর জন্য যে পরিমাণ ইস্পাত প্রয়োজন, ততখানি পর্যাপ্ত স্টিল নর্থ কোরিয়ার ভাঁড়ারে মজুত ছিল না। এই হোটেলের একদম উপরের ফ্লোরের রেস্টুরেন্টে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু অবজারভেশন ডেক বানানোর কথাও ছিল। সত্যি কথা বলতে, হোটেল রিয়াংগং-য়ে যে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুযোগ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, তা যদি সম্ভব হতো তাহলে শুধুমাত্র সাউথ কোরিয়াকেই নয়, ইগো আর প্রযুক্তির লড়াইয়ে পৃথিবীর তাবড় তাবড় দেশকেই পিছনে ফেলে দিতে পারত উত্তর কোরিয়া।
কিন্তু বিধি বাম। ১৯৮৭ সালে হোটেলের কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু করা হয় বটে, কিন্তু ১৯৮৯ সালে যখন ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভেল শুরু হয় তখন তিন হাজার রুমবিশিষ্ট এই হোটেলের নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ হয়নি। তখন সম্মান বাঁচানোর জন্য টেকনিক্যাল সমস্যার দায় দিয়ে সেযাত্রা পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
অবশ্য এত সহজে দমে যাওয়ার পাত্র নয় কিম পরিবার। হার না মেনে হোটেলের নতুন ওপেনিং ডেট ঘোষণা করে তারা। সেই বিশেষ দিনটি ছিল আবার উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম উন সুনের ৮০ তম জন্মদিন। এটা ১৯৯২ সালের কথা। হোটেলের সাইটের কাজ জোরকদমে চালু করা হয় আবার। কিন্তু ভাগ্য কোনোভাবেই সঙ্গ দিচ্ছিল না কিমদের।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। যেহেতু ঠান্ডা যুদ্ধের গোড়া থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ছিল, তাই এই ভাঙনের প্রভাব একেবারেই এড়িয়ে যেতে পারেনি উত্তর কোরিয়া। এই উত্থানপতনের ভিতরে একেবারে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে নর্থ কোরিয়ার অর্থনীতি। অর্থনৈতিক আনুকূল্যের অভাব, ভাড়ে মা ভবানী দশা, বিশ্ব রাজনীতিতে একঘরে হওয়ার ভয়- সাঁড়াশির মতো চেপে ধরে। টাকার অভাবে বিল্ডিংয়ের কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। হোটেলের ওপেনিং-এর যে আশ্বাস সবাইকে দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয়বারের জন্যও ফেল হয়ে যায় তা। এর ফলে একদিকে যেমন অসমাপ্ত থেকে যায় রিয়াংগং হোটেলের নির্মাণকাজ, তেমনই অন্যদিকে পৃথিবী জুড়ে হাসিঠাট্টার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় উত্তর কোরিয়ার এই স্ফীতোদর দম্ভ।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত রাজধানীর বুকে একইভাবে একা একা দাঁড়িয়ে আছে রিয়াংগং হোটেলের স্ট্রাকচার। সৌন্দর্য বাড়ানোর পরিবর্তে একটি কালো দাগের মতো উত্তর কোরিয়ার কলঙ্কচিহ্ন এই হোটেল। একসময় এই সম্পূর্ণ স্ট্রাকচারটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে পুরো পৃথিবীর সামনে আরো বেশি কলঙ্কিত হতে হবে এই ভয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে হয় উত্তর কোরিয়া সরকারকে।
এর অনেক বছর পর ২০০৮ সাল নাগাদ রিয়াংগং নিয়ে নতুন করে চুক্তি করা হয় একটি ইজিপশিয়ান কোম্পানির সঙ্গে। সেই চুক্তি অনুসারে স্থির হয়, এই কোম্পানি তাদের নিজেদের অর্থ দিয়ে নির্মাণের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবে। হোটেলের পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবে এই কোম্পানি। সেই সময় মারা গিয়েছিলেন নর্থ কোরিয়া সুপ্রিম লিডার কিম আল সাংতো। শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ঠিক করা হয় সুপ্রিম লিডারের ১০০ তম জন্মদিন অর্থাৎ ২০১২ সালে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই হোটেল।
ইজিপশিয়ান ঐ কম্পানি সর্বপ্রথম বিল্ডিংটিতে উইন্ডো প্যানেল লাগায়, যাতে ওটি শহরের সৌন্দর্য নষ্ট না করে। কিন্তু অন্দরসজ্জার কাজ শুরু করার সময় আরো একটি বড় সমস্যা দেখা দেয়। ২০১১ সালে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সিংহাসনে বসেই এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেন যার ফলে চটে গিয়ে নর্থ কোরিয়াতে বিলাসবহুল পণ্য রফতানি করা বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। এর ফলে শুরু হয় নতুন সমস্যা। হোটেলের অন্দরসজ্জার জন্য যেসব আসবাবপত্রের প্রয়োজন হতো তা নর্থ কোরিয়া আমদানি করতে পারছিল না। হোটেল উদ্বোধনের জন্য নির্দিষ্ট করা তারিখে আরো একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পোড়ে উত্তর কোরিয়ার।
পৃথিবীর সবথেকে উঁচু হোটেল হিসেবে যার বিশ্ব রেকর্ড করার কথা, সেই হোটেলের নাম গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে ওঠে বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য কারণে। গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী এটি পৃথিবীর সব থেকে বড় বিল্ডিং, যা গত ৩০ বছর ধরে একদম খালি পড়ে রয়েছে। আজও এই হোটেলের দেওয়ালে রাতের বেলায় চমৎকার রঙিন আলো দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু হোটেলের ভেতরে বিরাজ করে আশ্চর্য এক স্তব্ধতা। হোটেলটি কি আদপেও কোনোদিন সম্পূর্ণ হতে পারবে? এ প্রশ্নের উত্তর দেবে অনাগত আগামী।
good thinking