
প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটকের সমাগম ঘটে এই মাধবকুন্ড জলপ্রপাত দেখতে। সারা বছরই দেশী বিদেশী পর্যটকের আনা গোনা লেগেই আছে এখানে।
সুউচ্চ ২০০ফুট পাহাড় থেকে উপচে পড়া পানির দৃশ্য দেখে আপনার ভালো লাগবে অবশ্যই। প্রেমিকদের নিকট প্রিয়ার বিদায় নেয়ার দৃশ্য, প্রিয়া যেন মাথার চুল এলিয়ে দুলিয়ে চলে যাচ্ছে দূর কোথায়। ইচ্ছে হবে পানির সাথে মিতালী করতে। পানি এত পরিষ্কার যে ,ভাবতে আপনার বিস্ময়ের ভাব কাটবে না ।

কোথা থেকে এত পানি আসছে প্রচন্ড গতিতে, যে টিলার উপর থেকে পানি পড়ছে সেটা সম্পূর্ন পাথরের টিলা । ২০০ ফুট উচু টিলাটি কালো বর্নের পাথরের । নীচে রয়েছে অসংখ্য পাথর নানা প্রকার ভেদে। কুন্ডের ডানদিকে রয়েছে একটি গুহা যা পাথর বেষ্টিত। স্তানীয় ভাষায় গুহা কে কাব বলে । দেখলে মনে হয় এটা মানুষের তৈরী ,অথচ এটা প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্টি হয়েছে । আশে-পাশের নৈসর্গিক দৃশ্য আর সবুজ চা-পাতাময় বাগানগুলো আপনার মন কেড়ে নিবে। মাধবকুন্ড কে আকর্ষনীয় করার জন্য রয়েছে মাধবকুন্ডের ইকো-পার্ক, জেলা পরিষদের রেষ্ট হাউস,পিকনিক সেড ও গাড়ী পার্কিং জায়গা রয়েছে।
দেশের প্রথম ইকোপার্ক, মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের আশপাশ এলাকার চা বাঁগান, পাঁহাড়ি টিলা ও দেশী-বিদেশী পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের দিন দিন কাছে টানছে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুন্ডতে ভিতরে রয়েছে পর্যটনের রেস্তরা এবং বাহিরে রয়েছে অসংখ্য দোকান-পাট। সিলেট শহর থেকে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সিএনজি অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে যেতে হবে। সকাল সকাল বের হয়ে গেলে আপনি ভালমতন ঘুরে আসতে পারেন।

মাধবকুন্ডের পথে যেতে যেতে আপনি অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আরও অনেক টিলা দেখতে পারবেন যা আপনাকে অবিভূত করে তুলবে। মাধবকুন্ডের ভিতরে প্রবেশ করতে কিছুক্ষন হেঁটে আপনাকে যেতে হবে। এক বিশাল পাথরের গুহার মধ্যে দেখতে পারবেন মাধবকুন্ডের জলপ্রপাত।
সিলেট থেকে সড়ক পথে আপনি যেভাবে যাবেন, সময় লাগবে মাএ ২/৩ ঘন্টা । অথবা ঢাকা থেকে সড়ক পথে গেলে আপনি শ্রীমঙ্গল , মৌলভীবাজার হয়ে যেথে পারেন। সময় লাগবে মাএ ৭/৮ ঘন্টা। যদি যান , ভ্রমন টি অবশ্যই আপনার স্মৃতি পাতায় আনন্দের স্মৃতিকথা হয়ে রইবে চিরকাল।