দাওলায়ে উসমানীয়া। উসমানি খেলাফত। পাঁচশত ব’ছরের বেশি সময় ধরে খেলাফত পরিচালনা করেন গাজী উসমানের বংশধররা।
১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে খেলাফত বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত সুলতান সুলাইমান আল কানুনী, সুলতান সালিমের ম’তো বীর পুরুষ মহোত্তম শাসকেরা পরিচালনা করেছেন খেলাফত।
কসতুনতুনিয়া বি’জেতা মুহাম্মাদ আল ফাতিহসহ সকল খলিফাদেরই ঢাল, তরবারি, পঠিত কুরআন শরীফ, নানা ধরনের ব্যবহার সামগ্রী স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষিত ছিল তুরস্কের বিভিন্ন মিউজিয়ামে।
কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অস্থিতিশীলতার সময় তুরস্কের আয়া সুফিয়া, তুপকাপিসহ অন্যান্য মিউজিয়াম থেকে লুট হয়ে যায় মহান খলিফাদের অনেক স্মৃ’তিচিহ্ন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সুযোগ পে’য়ে দামি এবং মূল্যবান অনেক সামগ্রী তুরস্কের মিউজিয়াম থেকে সরিয়ে নিজেদের দেশের যাদুঘরে পুরে রাখে।
ইসলামে খেলাফত কেন্দ্রের বিভিন্ন মিউজিয়ামের দে’য়ালে দীর্ঘদিন পর্যন্ত যেসব তৈলচিত্র, ক্যালিগ্রাফি, ফ’লক সাঁটানো ছিল মুসলমানদের তা দেখতে যেত হত আমেরিকায়,লন্ডনে, প্যারিসে।
কুরআন শরীফের হাতে লেখা দুর্লভ অনেক নুসখা, মূল্যবান অনেক পাণ্ডুলিপি স্থানান্থরিত হয়েছিল তুরস্ক থে’কে স্পেন, আলমেনিয়া, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ক্রয়োশিয়ার যাদুঘরে।তুরস্কের সংস্কৃতি মন্ত্র’ণালয় সম্প্রতি মহান খলিফাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবতই তুরস্কের এরদোগান সরকার এ ব্যাপারে চেষ্টা করে আসছেন।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উ’দ্যোগে কিছুদিনের মধ্যে ৪ হাজার ১ শত ৫৯ টি স্মৃ’তিচিহ্ন অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, বুলগেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাতের মিউজিয়াম থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
যা’রমধ্যে র’য়েছে কুরআনে কারীমের কিছু নুসখা, প্রাচীন মূল্যবান কিছু গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি, সুলতান সালিমের সমাধি ফলক, কিছু তৈলচিত্র ও কিছু মূল্যবান ক্যালিগ্রাফি।