বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে চাঁদপুরের সফরমালী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারিরা বলছে, সরকারের গরু বিক্রির অ্যাপস তারা বুঝে না, তাই হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছে। ভিড় বেশি হওয়ায় বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান বলছে ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, সফরমালি হাটটিই অবৈধ। পার্শ¦বর্তী জেলা থেকে কোরবানির পশুর নিয়ে খামারিরা সফরমালি হাটে আসায় এ বাজার ক্রেতা সমাগম বেশি হয়ে। সরজমিন দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে অগ্রিম পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে খামারে পালিত মোটাতাজা গরু সফরমালি হাটে তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। খামারের এসব চোখ জুড়ানো পশু ক্রয় করতে চাঁদপুরের প্রতি সোমবার ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায় লক্ষণীয়। তবে এ পশুর হাটটি প্রায় তিন দশক পুরোনো। প্রতি সপ্তাহের সোমবার এখানে গরুর হাট বসে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও জীবাণু নাশক টানেল বসিয়ে এ হাট বসানো অনুমতি পেয়ে হাটটি শুরু করে বাজার কমিটি। তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ফ্রি মাক্স দিয়ে ও জীবানু নাশক স্প্রে করে এবারা হাট পরিচালনা করছে। কিন্তু লোকজন ঠিকমত মাক্স ব্যবহার করছে না। মানছে না সামাজিক দূরুত্ব। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার অ্যাপস এর মাধ্যেমে গরু বিক্রি করবে। তারা অ্যাপস বুঝে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে গরু বিক্রি করতে এসেছে। বাজার ব্যবস্থা কমিটির সদস্য আজাদ খান বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ফ্রি মাক্স দেয়াসহ জীবাণুনাশক টানেল বসিয়ে জীবাণুমুক্ত করে বাজার পারিচালনা করছে। করোনাকালে এ ব্যবস্থা রেখেই হাট পরিচালনা করবে। বাজার ব্যবস্থা কমিটির পরিচালক আব্দুল আজিজ খান দুদু বলেন, হাটের ইজারা দিয়ে ৯টি এতিম খানা, ৬৪ মসজিদের ইমামদের অর্ধেক বেতন ও দুস্থ অসহায়দের সেবায় খরচ করে থাকি। চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, আমাদের সদর উপজেলায় অনুমোদিত গরুর বাজার আছে ২৪ টি। ইতিমধ্যে অস্থায়ীভাবে কোরবানি উপলক্ষে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার সফরমালী বাজার আছে, যেটা প্রতি সোমবার বাজার বসে। এই বাজারে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যক্তি পর্যায়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। গত ৩০ বছর যাবৎ সরকার কোন ইজারা দেয় নাই। এ ব্যাপারে জেলা প্রসাশক বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ে কোন টোল আদায় অধিকার নাই। পতিপক্ষ বলছে তাদের মামলা আছে। আমার জানামতে টোল আদায় সংক্রান্ত কোন মামলা নাই। মামলা থাকলে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে। আমি মনে করি কোন ব্যক্তি দীর্ঘ সময়ে কোন টোল আদায়ের কোন অধিকার সে রাখে না। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এই হাটটি যেন না বসে।