রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন যা ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। এই অরণ্য বছরে ৪-৫ মাস পানির নিচে থাকে। তবে জলে কোমর ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমায় বেশি বর্ষার মৌসুমে। তখন অবশ্য ডিঙ্গি নৌকায় করে ঘুরতে হয়। ডিঙিতে চড়ে বনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে দেখা যাবে প্রকৃতির রূপসুধা। জলমগ্ন বলে এই বনে সাপের আবাসটাই বেশি, তবে ভাগ্য ভালো হলে দেখা হয়ে যেতে পারে দু-একটা বানরের সাথে। তাছাড়া চোখে পরার মত বনে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিলসহ নানা জাতের পাখিতো আছেই।
এইবারের ভ্রমন অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে । আবারো বিবিএম গ্রুপের সাথে ভ্রমনে গেলাম। সাথে ছিল সোনার বাংলা ট্রাভেল গ্রুপ। বিবিএম গ্রুপের কর্ণধার শুভ ভাই । এবং সোনার বাংলা গ্রুপের কর্ণধার পরশ মাহবুব এবং রাসেল আল যুবায়ের ভাই। অনেক ভাল ট্রাভেলিং গাইড নিয়ে রাতারগুল জলাবন ভ্রমন করা হল।
সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটিগাছ ‘রাতাগাছ’ নামে পরিচিত। সেই মুর্তা অথবা রাতাগাছের নামানুসারে এই বনের নাম হয়েছে রাতারগুল।
রাতারগুলে কায়াকিং : রাতারগুলে গেলে কায়াকিং করতে পারেন। কায়াকে ঘুরে আপনি যে মজা পাবেন সেটার সাথে নৌকায় ঘোরার মজা এক হবে না নিশ্চিত। কায়াক নিয়ে আপনি রাতারগুলের যেখানে সেখানে ঢুকতে পারবেন। ইচ্ছা হলেই থামতে পারবেন। যেটা নৌকা নিয়ে আপনি পারবেন না। আর রাতারগুলের ভিতরে ঢুকে কিছু সময় চুপচাপ কায়াকে বসে থাকবেন যেখানে গাছের ঘনত্বের কারনে সূর্যের আলো যায় না, চারিদিকে দিনের বেলাতেই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, স্রোতের কল কল শব্দ, হটাৎ পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ, পানির ভিতরে ঘাটি গেড়ে থাকা বিশাল বিশাল গাছ, ওয়াচ টাওয়ার হতে চারপাশের ভিউ। সর্বোপরি আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য!
♦ অবস্থান: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে, গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এই বনের অবস্থান। সিলেট শহর থেকে এর দূরত প্রায় ২৬ কিলোমিটার। যেতে লাগবে- গাড়ি > ইঞ্জিন নৌকা > ডিঙ্গি নৌকা।
যেভাবে যাবেন: রাতারগুল যেতে পারেন দু-দিক দিয়ে। এয়ারপোর্টের পেছন থেকে একটা বাইপাস রোড ফতেহপুর হয়ে হরিপুরে গিয়ে মিশেছে। এদিকেও যেতে পারেন। অথবা জাফলং রোডেও যেতে পারেন। তবে যেতে হবে সিলেট থেকেই।
♦ সর্তকতা: বর্ষায় বনে জোঁক আর সাপের প্রকোপ বেশি থাকে। তাই সতর্ক থাকবেন। যাঁরা সাঁতার জানেন না, সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখতে পারেন। তাছাড়া বনে ঢুকে পানিতে হাত না দেয়াই ভালো। কারণ বিষাক্ত সব সাঁপ এখানে ঘুরে বেড়ায়! নৌকায় বসে কোন গাছের ডালে হাত দিতেও সতর্ক থাকুন।
থাকার ব্যবস্থা: সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে,সিলেটে আপনি আপনার প্রোয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন কয়েকটি পরিচিত হোটেল হল হোটেল হিল টাউন,গুলশান,দরগা গেইট,সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি। তবে ঈদের সময় সিট সংকট থাকতে পারে তাই যাওয়ার ২/৩ দিন আগে এডভান্স বুকিং দিলে ভালো হয়৷ লালা বাজার এলাকায় কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে৷হোটেল অনুরাগ-এ সিঙ্গেল রুম ৪০০টাকা(দুই জন আরামসে থাকতে পারবেন), তিন বেডের রুম ৫০০টাকা(নরমালই ৪জন থাকতে পারবেন।
যেখানে খাবেন : খাওয়ার জন্য সিলেটের (Sylhet) জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে।
পরামর্শ: রোদের জন্য ছাতা নিতে পারেন। তবে দুপুর টাইমে না যাওয়াই ভালো। খুব সকালে গেলে অনেক পাখি দেখতে পারবেন। তাদের কিচিরমিচিরে পরিবেশটা হবে অন্যরকম। আবহাওয়াটাও ঠাণ্ডা থাকবে। তাছাড়া শেষ বিকেলের দিকেও যেতে পারেন। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হবে তখন গাঁ ছমছমে ভাব আসবে।
We use cookies to optimize our website and our service.
Functional
Always active
The technical storage or access is strictly necessary for the legitimate purpose of enabling the use of a specific service explicitly requested by the subscriber or user, or for the sole purpose of carrying out the transmission of a communication over an electronic communications network.
Preferences
The technical storage or access is necessary for the legitimate purpose of storing preferences that are not requested by the subscriber or user.
Statistics
The technical storage or access that is used exclusively for statistical purposes.The technical storage or access that is used exclusively for anonymous statistical purposes. Without a subpoena, voluntary compliance on the part of your Internet Service Provider, or additional records from a third party, information stored or retrieved for this purpose alone cannot usually be used to identify you.
Marketing
The technical storage or access is required to create user profiles to send advertising, or to track the user on a website or across several websites for similar marketing purposes.