ট্রাভেল বাংলাদেশ স্পেশাল
ঐতিহাসিক এই নিদর্শন হাজার বছরের ঐতিহ্য ও রহস্যেঘেরা
মিশরীয় সভ্যতা পৃথিবীর আদি সভ্যতাগুলোর একটি। নীলনদের তীরে গড়ে ওঠে এই সভ্যতা। পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্যের একটি হচ্ছে মিশরীয় পিরামিড। মিশরের গিজা শহরে সবচেয়ে বেশি পিরামিড আছে। আদিকাল থেকেই এই পিরামিডকে ঘিরে রয়েছে হাজারো রহস্য।
পিরামিডের উৎপত্তি হয় ফারাও রাজাদের শাসনামলে। নির্মাণের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেকালের রাজা এবং রাজপত্নীদের মরদেহ পিরামিডে সংরক্ষণ করা। মৃতদেহকে সংরক্ষণ করা হত মমি বানিয়ে। পিরামিডকে সমাধিসৌধ হিসেবে ব্যবহার করা হত। পিরামিডগুলো কয়েক কক্ষবিশিষ্ট করা হত।
মৃত্যুর পর পরকালে বিশ্বাসী ছিলেন ফারাওরা। তাদের ধারণা ছিল, দেহ মরে কিন্তু আত্মা জীবিত থাকে। তাই পরবর্তীকালে আত্মাকে ভাল রাখার জন্য মরদেহের সাথে প্রচুর পরিমাণে ধন- দৌলত, খাবার দাবার দিয়ে দেয়া হত পিরামিডের ভেতরে। অবাক করা কাহিনী হচ্ছে, মৃত্যুর পর সেবার অভাব যেন না হয়, তাই অসংখ্য দাসদাসীদের হত্যা করে রাজার মরদেহের সাথে দিয়ে দেয়া হত।
গিজা নগরীতে অবস্থিত খুফুর পিরামিড মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় পিরামিড। এর অপর নাম গিজার গ্রেট পিরামিড। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নির্মাণ করা হয় খুফুর পিরামিড। এর নির্মাণ কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ২৫৬০ থেকে ২৫৪০। এর উচ্চতা ৪৫৫ ফুট। তিন কক্ষবিশিষ্ট পিরামিড ছিল বলে ধারণা করা হয়। তিন কক্ষের সবচেয়ে নিচে ছিল বেসমেন্ট। এর উপরে রাজা এবং রানীর সমাধি কক্ষ ছিল।
দূর-দূরান্ত থেকে ২৩ লাখ লাইমস্টোন পাথর এনে তৈরি করা হয়েছে এই পিরামিড। জলপথে তুরা অঞ্চল থেকে এই পাথর আনা হত।
পিরামিডের ভেতরে ঢোকার জন্য দর্শনার্থীদের জন্য পথ রয়েছে। বর্তমানে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় করে মিশরীয় পিরামিড দেখতে।
আপনি যদি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তাহলে একবার মিশর চলে যেতে পারেন। সেখানে এই পিরামিড অবশ্যই ঘুরে দেখবেন । কেননা এর বিস্ময়কর নির্মানশৈলিতে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।