কোরবানির হাট ক্রেতাশূন্য, ইজারাদারদের মাথায় হাত

কোরবানির হাট ক্রেতাশূন্য, ইজারাদারদের মাথায় হাত

জামালপুর জেলার সব চেয়ে বড় হাট সানন্দবাড়ী হাট প্রায় কোটি টাকার ইজারা মূল্য দিয়ে নেওয়া হাটে গতকাল সাপ্তাহিক হাটবার ছিল। বিকালের দিকে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, হাটে গরু আর গরু। বিশাল মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গরুর তুলনায় ক্রেতা কম।

হাট সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ১২০০টির মতো গরু হাটে উঠেছিল তার ভেতর ৭৪টি গরু বিক্রি হয়েছে। যেখানে গত কোরবানির হাটে এই সময়ে ৭০০টি গরুর মতো বিক্রি হতো। এবারে ঈদে গরু বিক্রি নেই বললেই চলে তাই ইজারাদারদের মাথায় হাত।

অন্যান্য বছর দেশের বিভিন্ন শহর থেকে বড় বড় পাইকাররা এসব বাজারে এসে শত শত গরু কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু এবছর করোনা এবং বন্যার কারণে দূর-দূরান্তের বড় বড় পাইকাররা হাটে আসছে না ফলে বড় ধরনের বিক্রি নেই স্থানীয় কিছু পাইকার আর ক্রেতারা যা কিনছেন তাই।

একই অবস্থা দেওয়ানগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটের দিনে গরু বিক্রি খুব কম হয়েছে। গরুর তুলনায় ক্রেতা খুব কম। হাটের মাঠ ছেড়ে গরু বাজারের বিভিন্ন রাস্তায় তোলা হয়।

কোরবানির পশুর হাট গুলিতে ছিল না কোনো সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো নাম ছিল না মানুষের মাঝে। মানুষের মাথার ওপর মানুষ গা ঘেঁষে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই এভাবেই চলছে কেনা বেচা।

সানন্দবাড়ী হাটের ইজারাদার মো. রেজাউল করিম লাভলু কালের কণ্ঠকে জানান, আমি কোটি টাকা দিয়ে এই হাট ইজারা নিয়েছি গেল মার্চ থেকে করোনার কারণে ৪২টি হাট নষ্ট হয়ে গেছে এখন আবার বন্যার কারণে হাট জমছে না।

আমার ৩০ লাখ টাকার মতো লস হয়ে গেছে। সামনে কি হবে কেউ জানে না এভাবে হাট চলতে থাকলে আমরা পথে বসে যাব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমরা যেন এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারি সে জন্য যেন প্রণোদনা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.