কাবার চত্বর। যেখানে সব সময় হাজারো মানুষের তাওয়াফে ছিল মুখরিত, বৈশ্বিক মহা’মারি করোনায় সে দৃশ্য এখন বিরল। সেখানে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে সময় কাটায়।
মনে হচ্ছে যেন, পাখিরা কাবা চত্বরে মহান রবের জিকির করছে। দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাবা শরিফ চত্বরে তাওয়াফও বন্ধ রয়েছে। নীরব নিস্তব্ধ কাবা শরিফের মাতআফে আ’ইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেই পাখির ঝাঁক নেমে পড়েছে। যেন তারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ইবাদতে মশগুল।
হারামাইন শারিফাইন ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয়া এক ছবিতে দেখা যায়, কাবা শরিফ চত্বরে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাবা শরিফ সংলগ্ন মাকামে ইব্রাহিমের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার সামনেই পাখির ঝাঁক কাবা চত্বরে নেমে পড়েছে। কাবা শরিফের চারপাশ যেখানে সব সময় হাজারো মানুষের তাওয়াফে মুখরিত ছিল, সেখানে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে সময় কাটায়। মনে হচ্ছে যেন, পাখিরা কাবা চত্বরে মহান রবের জিকির করছে। হারামাইন শারিফাইন ফেসবুক পেজে এমনই মন্তব্য করছেন অনেকে।
অনেকে আবার এও মন্তব্য করেছেন, ‘হে আল্লাহ! পাখির মতো আমাদের কাবা চত্বরে সময় কাটানোর তাওফিক দাও। মহামারি করোনা থেকে মুক্তি দিয়ে তাওয়াফ করার তাওফিক দাও।’ ইতিমধ্যে ২০ বছর অপেক্ষার পর একাকি পায়ে হেটে কাবা শরিফ তাওয়াফের ইচ্ছাপূরণ করেছেন এক ব্যক্তি। যে কিনা ২০ বছর আগে এমন এক স্বপ্নে দেখেছেন, যার ব্যাখ্যা ছিল, ‘সে ব্যতীত অন্য কেউ কাবা চত্বরে তাওয়াফ করবে না।’ সম্প্রতি তা বাস্তবায়ন হয়েছে মর্মে খবর ও ভি’ডিও প্রকাশিত হয়েছে।
সৌদি আরব ইতিমধ্যে দুই ধাপে সব মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সে মতে প্রথম ধাপে গত ৩১ মে রোববার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে অংশগ্রহণের জন্য মসজিদে নববিসহ অনেক মসজিদ খুলে দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ জুন মোতাবেক ২৮ শাওয়ালও বাকি মসজিদ খুলে দেবে। তবে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ পুরোপুরি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা এখনও আসেনি।
মুসলিম উম্মাহ তাদের হৃদয়ের স্পন্দন পবিত্র কাবা শরিফে তাওয়াফ ও ইবাদতের জন্য মুখিয়ে আছে। কখন আসবে সেই সময়। কখন আসবে সে ঘোষণা। মুমিন মুসলমানের চাওয়া, ‘হে আল্লাহ! আপনি মহামারি করোনা থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি দিন। খুলে দিন কাবার দরজা।’ আমিন।