মাছপ্রিয় বাঙালির কাছে বর্ষা প্রিয় একটি ঋতু। এই সময়ে নতুন পানির ছোট মাছের স্বাদ ভালো হয় বলে প্রচলিত আছে। জেলে আর খামারিরাও এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, বেশি মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছরটা ঠিক তার উল্টো। পুকুরে পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। এ সময়টায় করোনার কারণে দেশে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় খামারিরা হ্যাচারিগুলো থেকে পোনা আনতে যেতে পারেননি। নদী–খাল–বিলে মাছ ধরাও কমে গেছে। তার ওপরে মাছের দাম ও বিক্রি দুই–ই তিন মাস ধরে কমছে তো কমছেই।
অথচ গত বছরই মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ রেকর্ড গড়েছে। স্বাদুপানির মাছে বাংলাদেশ তার তৃতীয় স্থানটি ধরে রেখে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। চাষের মাছে দেশ গত ছয় বছরের মতোই পঞ্চম স্থান রয়েছে।
মাছপ্রিয় বাঙালির কাছে বর্ষা প্রিয় একটি ঋতু। এই সময়ে নতুন পানির ছোট মাছের স্বাদ ভালো হয় বলে প্রচলিত আছে। জেলে আর খামারিরাও এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, বেশি মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছরটা ঠিক তার উল্টো। পুকুরে পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। এ সময়টায় করোনার কারণে দেশে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় খামারিরা হ্যাচারিগুলো থেকে পোনা আনতে যেতে পারেননি। নদী–খাল–বিলে মাছ ধরাও কমে গেছে। তার ওপরে মাছের দাম ও বিক্রি দুই–ই তিন মাস ধরে কমছে তো কমছেই।
অথচ গত বছরই মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ রেকর্ড গড়েছে। স্বাদুপানির মাছে বাংলাদেশ তার তৃতীয় স্থানটি ধরে রেখে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। চাষের মাছে দেশ গত ছয় বছরের মতোই পঞ্চম স্থান রয়েছে।
জুন গড়িয়ে জুলাই চলে এল। পুরোদমে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবার এখনো মাছের দাম বাড়েনি। জেলে–খামারিরা যতটুকু মাছ নিয়ে বাজারে হাজির হচ্ছেন, তা–ও বিক্রি হচ্ছে না। বিশেষ করে ছোট ও কিছুটা বেশি দামের মাছের বিক্রি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। কারণ, ভোক্তারা করোনার এই সময়ে কম দামি ও মাঝারি আকৃতির মাছের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে দেশে নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রুই মাছের দাম, ১১ শতাংশ। আর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা লাইট ক্যাসেল দেশের মৎস্য খাতের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে একটি জরিপ গত ৩০ জুন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা দেখিয়েছে, গত তিন মাসে রুই মাছের দাম ১১ শতাংশ ও কাতলা মাছের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। আর পাবদা মাছে ২৩ শতাংশ ও চিংড়িতে ৫২ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আরিফ আজাদ মৎস্য চাষিরা চারদিক থেকে বিপদে আছেন। গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তাঁরা পোনা সংগ্রহ ঠিকমতো করতে না পারায় এ বছর মাছের উৎপাদন এমনিতেই কমে আসবে।