মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় তিন বিমানসংস্থা- এমিরেটস এয়ারলাইনস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ও কাতার এয়ারওয়েজ। অঞ্চলটির ‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত এই বিমানসংস্থা গুলো বিশ্বখ্যাত।
তারাই পরস্পরের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীও। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিমানযাত্রায় ধস নেমেছে। তার প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমানসংস্থা গুলোর ওপরেও।
সবাই চেষ্টা করছে করোনা মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে যেতে। স্বাভাবিক যাত্রা শুরু করতে। কিন্ত মহামারির মধ্যে তাদের ব্যবসার হাল কেমন ছিল? এ প্রশ্নের উত্তর ব্যাখ্যা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যারোটাইমডটঅ্যারো।
প্রতিবেদনটি অনুসারে, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ তাদের যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনা বন্ধের ঘোষণা দেয় গত ২৫শে মার্চ।
এর একদিন পর একই পথ অনুসরণ করে এমিরেটসও। পরবর্তী দুই মাস ধরে উভয় কোম্পানিই যাত্রী পরিবহণ বন্ধ রাখে।
তার জায়গায় কার্গো উড়িয়ে বেড়ায় ও মাঝে মাঝে নাগরিক ফিরিয়ে আনার কাজ করে।
তবে কিছুটা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিল কাতার এয়ারওয়েজ। তারা যাত্রী পরিবহণ পুরোপুরি বন্ধ না রেখে, সীমিত করে ফেলে।
প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পুরোপুরি বাদ করে দেওয়া হয় না। যাত্রীবাহী বিমানগুলো দিয়ে বিদেশে আটকে থাকা মানুষজনকে দেশে ফিরিয়ে নেয়, মেডিক্যাল সাপ্লাই ও কার্গো পরিবহণ করে।
ফলস্বরুপ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বেশ এগিয়ে যায় কাতার এয়ারওয়েজ।
এপ্রিলে তারা ঘোষণা দেয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইনে পরিণত হয়েছে কোম্পানিটি। সেসময় বিশ্ববাজারের ১৭.৮ শতাংশই ছিল তাদের দখলে।
মধ্য-মে থেকে ফের ধীরে ধীরে যাত্রী পরিবহণের ব্যবসায় ফিরতে শুরু করে এমিরেটস ও ইতিহাদও। কিন্তু ততদিনে বেশ এগিয়ে ছিল কাতার।
প্রতি সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ৩০টি বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করছিল তাদের বিমান। তবে কাতার এয়ারওয়েজ লকডাউনের সময় ও এখনো এগিয়ে থাকলেও কমে এসেছে ব্যবধান।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ- উভয় এয়ারলাইনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান।
আইএটিএ অনুসারে, চলতি বছর বিমান চলাচল কমে যাওয়ায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হারাতে যাচ্ছে দেশটি।
অন্যদিকে, বিমান চলাচল কমায় কাতার হারাতে যাচ্ছে ৩০০ কোটি ডলার।