বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, করোনা মহামারীর ধাক্কা লেগেছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি আমরা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপেটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের জন্য জমি লিজ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি, ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি হোসনে আরা ফেরদৌস সুমি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমরা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছি। তারপরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েই এগিয়ে চলেছি।
আমাদের রফতানির ৮৪ ভাগ তৈরি পোশাক। অন্যান্য কোনো পণ্যই আমরা বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারি না। পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক পণ্য রফতানি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, চামড়া আমাদের একটি বড় সম্ভাবনাময় রফতানি খাত। এ খাতের পণ্য বিশ্ববাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জন করে দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ হবে। এখানে মেনুফ্যাকচারিং খাতের আধুনিকায়ন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ, ডিজাইন তৈরি ও উদ্ভাবনে সহায়তা, উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ কর্মী তৈরি করা সম্ভব হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে অনেক দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা সম্ভব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণে এ খাত বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এবং রফতানি বাড়বে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বিশ্বে আজ অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ অর্থনীতি সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়। চুক্তিতে সই করেন বেজার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল মান্নান ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সফিকুল ইসলাম। ইসিফোরজে প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বেজার ১০ একর জমির ওপর এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ৪ একর জমির ওপর দুটি টেকনোলজি সেন্টার গড়ে তোলা হবে।