সরকারের নিষেধাক্কা থাকার পরও কুড়িগ্রাম সীমান্ত পথে দেদার ঢুকছে গরু। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার আমার সংবাদকে জানান, যাত্রাপুর হাটে ভারতীয় গরু বিক্রির আইনগত কোনো বৈধতা নেই।
এখানে কোনো বিট খাটাল বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নেই। কিন্তু কীভাবে একটি চক্র এসব অবৈধ ব্যবসা করে দেশীয় গরু ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছেন তা তারা (হাট কর্তৃপক্ষ) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন। এসব গরুর কোনো করিডোরও হচ্ছে না।
ফলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্বও হারাচ্ছে। তবে যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, বিজিবি ভারতীয় গরু প্রতি ৫০০ টাকা করিডোর ফি আদায়ের বিনিময়ে এসব ভারতীয় গরু হাটে বিক্রি ও তা ট্রাকযোগে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের অনুমতি দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, করিডোর ফি আদায়ের কাগজ নিয়েই এসব গরু হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর বিজিবি এসব গরু ধরলা সেতু পার হওয়ার অনুমতি দেয়।
সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জামাল হোসেন আমার সংবাদকে জানান, নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু চোরচালান বেড়ে গেলেও তা প্রতিরোধে বিজিবি তৎপর রয়েছে।
আমরা ইতোমধ্যে বেশকিছু গরু সিজ করেছি। তবে বন্যা এবং বৈরী আবহাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে গরু চোরাকারবারিরা। বিজিবি নৌপথে টহল জোরদার করেছে। এরপরও যদি কোনো ভারতীয় গরু পাচারের খবর পাওয়া যায় তাহলে বিজিবি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
যাত্রাপুর হাটে করিডোর বা বিট খাটালের অনুমতি দেয়া হয়নি জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশীয় খামারি ও গরু ব্যবসায়ীদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু পাচার রোধে প্রশাসন কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় গরু পাচার রোধে আমাদের টাস্কফোর্স কাজ করছে বলে জানান তিনি।