এবার ‘রেড জোনে’ সেনা নামছে, সর্বোচ্চ কঠোর সরকার

করোনা সংক্রমণের মাত্রা অনুসারে সরকারঘোষিত রেড জোন বা লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে টহলে নামছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা সংশোধিত এক নির্দেশনায় রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কোথায় কতটুকু ও কিভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে এরইমধ্যে ঢাকার ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা ‘রেড জোন’ ভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭টি ও দক্ষিণ সিটিতে রয়েছে ২৮টি এলাকা। এছাড়াও দেশের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত বাণিজ্যিক ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ১০টি এলাকাকেও রেড জোনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেড জোনগুলোতে সরকারি নির্দেশনাবলি যথাযথ পালনের উদ্দেশ্যে সেনা টহল জোরদার করা হচ্ছে।করোনা ভাইরাসের বিস্তারের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঢাকাসহ সারা দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা সংশোধিত এক নির্দেশনায় রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কোথায় কতটুকু ও কিভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে এরইমধ্যে ঢাকার ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা ‘রেড জোন’ ভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭টি ও দক্ষিণ সিটিতে রয়েছে ২৮টি এলাকা। এছাড়াও দেশের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত বাণিজ্যিক ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ১০টি এলাকাকেও রেড জোনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, রেড জোন বা লাল অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দফতরসমূহ এবং বসবাসকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, ১৬ জুন থেকে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় বেচা-কেনা, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাতি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। বিধি মেনে দোকানপাট, শপিং মল চালু থাকবে এবং অবশ্যই বিকেল ৪টার মধ্যে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। সর্বাবস্থায় বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত এবং ১ জুন থেকে গণপরিবহন খুলে দেয়া হয়। এ নির্দেশনা ছিল ১৫ জুন পর্যন্ত। সেটি আবারও বাড়ানো হলো।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর দফায় দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়। তবে ঈদের পর গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি অফিস, কর্মস্থল ও গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালুর ঘোষণা দেয় দরকার। কিন্তু এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেটি বাড়ানো হলো ৩০ জুন পর্যন্ত।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.