বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপের ভেজা বালুচরে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার রাজত্ব-দৌড়ঝাঁপ চলছে। একেকটি কাঁকড়ার ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। দৃশ্যটি গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার। বালুচরে দাঁড়িয়ে কাঁকড়ার অবাধ বিচরণের দৃশ্য দেখা গেল। সৈকত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানালেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সৈকত পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকায় কাঁকড়াগুলোর এমন অবাধ বিচরণ সম্ভব হয়েছে।
তবে ব্যাপক পরিসরে কাঁকড়ার অবাধ বিচরণের দৃশ্য আজ সোমবার থেকে হয়তো সেভাবে দেখা আর সম্ভব হবে না। আজ থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার সৈকত। হোটেল, মোটেল, কটেজ, গেস্টহাউস, রেস্তোরাঁ পর্যটক বরণে প্রস্তুত। খুলে দেওয়া হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলোও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন লাখো মানুষ। সমুদ্রসৈকতের লোনাজলে শরীর ভিজিয়ে লোকজন বালুচরে দেবেন দৌড়ঝাঁপ। ঘোড়ার পিঠে চড়ে কিংবা বিচবাইকে উঠে ছুটবেন বালুচরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে কোলাহল-হইচই। মানুষ ও ঘোড়ার পায়ে পিষ্ট হয়ে বা বিচবাইকের চাকায় চাপা পড়ে বিলীন হবে কাঁকড়ার জীবন, ধংস হবে বালুর বাসা। আবারও সংকুচিত হয়ে পড়বে লাল কাঁকড়ার রাজত্ব। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে লাল কাঁকড়াগুলো রক্ষার কোনো উদ্যোগও নেই। তাহলে এই লাল কাঁকড়ার কী হবে?