অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে ধস নেমেছে অর্থনীতিতে। ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে দেশটির রপ্তানির হার। দেশটির অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশই রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছররের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ২.৯ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের পর জিডিপিতে সবচেয়ে বড় পতন এটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি উপাত্ত অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি মন্দার মুখে পড়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুরও।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী হং নাম-কি প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে পারবে দেশটি। তিনি বলেন, মহামারিটির সংক্রমণ কমছে, স্কুল ও হাসপাতাল ফের খুলছে। ফলে মোট উৎপাদন বাড়ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের মতো উত্তরণ দেখা সম্ভব আমাদের পক্ষে।
উল্লেখ্য, এখন অবধি করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ২৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার প্রণোদনা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে আরো অনেক দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রপ্তানি হার সর্বনিম্নে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৬ হাজার ১৩০ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে দেশটি। দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ জানিয়েছেন, এই ঘাটতি আরো বাড়বে।
এদিকে, মে মাসে ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক মন্দায় পতিত হয়েছে জাপান। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মন্দার মুখে পড়েছে সিঙ্গাপুরও। তবে গত সপ্তাহে চীন জানিয়েছে, মন্দায় পড়া ঠেকাতে পেরেছে তারা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের অর্থনীতি বেড়েছে ৩.২ শতাংশ।